করোনার প্রতিরোধে বাউফলে জনপ্রতিনিধির ভূমিকা নিরব

করোনার প্রতিরোধে বাউফলে জনপ্রতিনিধির ভূমিকা নিরব

 নিজস্ব প্রতিনিধি :
পটুয়াখালীর বাউফলে করোনার প্রতিরোধ ও সচেতনতা প্রচারনা নিরব ভূমিকা পালন করছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ইউপি চেয়ারম্যান ও সদস্যগন। এ নিয়ে সাধারন জনগনের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব যখন করোনায় সংক্রামক নিয়ে উদিগ্ন ও প্রতিরোধে নানা কর্মসূচী পালন করেছে এমনি মুহুর্তে জনপ্রতিনিধিগন ঘরমুখী হয়ে পড়েছে। শুধু উপজেলা প্রশাসন নিবার্হী অফিসার ও পুলিশ বাহিনীকে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা গেছে।
এক সপ্তাহব্যাপী করোনা ভাইরাস নিয়ে উপজেলা বাউফল আতঙ্ক বিারজ করেছে। সচেতনতার লক্ষ্যে ২৫ মার্চ খেকে সাধারন ছুটি ও ষ্টে-হোম ঘোষনা হলে সাধারন মানুষ গৃহমুখী হয়ে পড়েছে। জনগনের সুবিধার্থে ফার্মেসী ও মুদি দোকান খোলা থাকলেও দিনমজুর পরিবারের উপার্জনের কর্মক্ষেত্রে বন্ধ রয়েছে। উপজেলার ১৫ টি ইউনিয়নের বেশির ভাগ পরিবার নি¤œ আয়ের দরিদ্র ও হতোদরিদ্র হলে সামাজিকতা এবং মূল্যবোধের জন্য কারো দারস্ত হচ্ছে না। দেখা গেছে, এলাকার অংশ বিভিন্ন এনজিও থেকে ্ঋন গ্রস্থ হয়ে সাপ্তাহিক কিস্তি রয়েছে। এনজিওগুলো সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপক্ষো করো ফাকেফাকে কিস্তি টাকা আদায় করছে
 খোজ নিয়ে জানাগেছে. বাউফল উপজেলা পরিষদ এবং ১টি পৌরসভাসহ ১৫টি ইউনিয়নে ১৪ শতাধিক জন প্রতিনিধি রয়েছে। উল্লেখিত জনপ্রতিনিধির নাগরিক সেবার দায়িত্ব থাকলেও নিরবে দিন কাটাচ্ছে।
করোনা আতঙ্ক নয়, সার্বজনিন প্রয়োজন প্রতিরোধে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা থাকা। বিদেশীদের কোরেন্টাইনে রাখা, ঢাকাসহ অন্যান্য শহর থেকে আগমনকারীদের ১৪ দিন ঘরে থাকা এবং ষ্টে-হোম কারনে দরিদ্র পরিবার সহায়তা করা জনশ্রুতি থাকলে জনপ্রতিনিধিদের অংশগ্রহন নেই বলা চলে।
গত কয়েকদিন ধরে জনপ্রতিনিধর ভূমিকা অনুসন্ধান চালাতে গিয়ে চোখে পড়েনি। নাজিরপুর এবং চন্দ্রদ্বীপ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান উদ্যোগে সচেতনতা মূলক কাজ দেখা গেলেও উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধির ভ’মিকা চোখে পড়েনি। বিষয়টি নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তি জানান,অপেক্ষায় রয়েছে দুর্যোগ  ঘোষণার। ত্রান নিয়ে পকেট ভারি করার চিন্তার মগ্ন।  
করোনার প্রতিরোধ নিয়ে কয়েকজন ইউপি জনপ্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করলে অভিযোগ হচ্ছে, শুনেছি করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন হচ্ছে। সহায়তার জন্য তালিকা হচ্ছ্ ে চেয়ারম্যান ডাকেনি। সম্ভবত তিনি একাই কাজগুলো করবেন।